নরসিংদীর মনোহরদীতে চোর সন্দেহে ফজলুর রহমান (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কোচেরচর এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফজলুর রহমান মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মনতলা গ্রামের মোক্তার উদ্দিনের ছেলে। ২০ বছর প্রবাসে থাকার পর দেশে ফিরে স্থানীয় খিদিরপুর বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, কখনো কখনো মানসিক ভারসাম্যহীন আচরণ করলেও ফজলুর রহমান চোর ছিলেন না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর গ্রামের অটোরিকশাচালক আমির হোসেনের বাড়িতে যান ফজলুর। ওই সময় আমির হোসেনের স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ফজলুরকে আটক করেন। পরে তাঁকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাতভর মারধর করা হয়। ওই অবস্থাতেই ফজলুর অচেতন হয়ে ছিলেন।
সকাল আটটার দিকে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ফজলুরকে আমিরের অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মকসুদ আলী উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে পৌঁছার পর ফজলুরের নিথর দেহ অটোরিকশা থেকে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন অটোরিকশাচালক আমির হোসেনকে আটক করে থানায় খবর দেন। পরে মনোহরদী থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত ফজলুর রহমানের স্ত্রী কুসুম বেগম জানান, মাঝেমধ্যেই তাঁর স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যেতেন। তখন হাঁটতে হাঁটতে দূরে চলে যেতেন। গতকাল রাতেও তিনি বের হয়েছিলেন। তাঁর টাকাপয়সার অভাব ছিল না। চুরির অপবাদ দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। কুসুম বেগম এই হত্যার বিচার চান।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল হোসেন জানান, চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে। লাশ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা থানায় এসেছেন। এ ঘটনায় জড়িত একজন আটক আছেন ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।