নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার উপজেলার পৃথক দুটি স্থানে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলো তাসকিন (৭), নোমান (৮) ও সালমা আক্তার (২১)।
তাসকিন সদর উপজেলার সাতপাই এলাকার বাসিন্দা মো. আল মামুনের ছেলে। নোমান পূর্বধলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের পাঁচমারকেন্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সালমা আক্তার আগিয়া ইউনিয়নের টিকুরিয়া গ্রামের নওয়াব আলীর মেয়ে ও বিশকাকুনী ইউনিয়নের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেলে তাসকিন তার মা-বাবার সঙ্গে পাঁচমারগেন্ডা গ্রামে নানা আমছর আলীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় সেখানে তার সমবয়সী খালাতো ভাই নোমানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশে ঘুরতে বের হয়। কিছুক্ষণ পর ওই দুই শিশু বাড়িতে না আসায় স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে এলাকায় মাইকিং করা হয়। আজ সকাল ১০টার দিকে তাদের নানি পারভিন আক্তার বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ গজ উত্তরে কংস নদের শাখা দেইড়া নদীতে দুই শিশুর ভাসমান মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
মৃত সালমা আক্তার কয়েক দিন আগে তাঁর বাবার বাড়ি টিকুরিয়া গ্রামে বেড়াতে যান। আজ সকালে তিনি বাড়ির সামনে পুকুরে হাত–মুখ ধোয়ার সময় পানিতে পড়ে যান। ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় তাঁর মা জ্যোৎস্না বেগম পুকুরে এসে তাঁকে ভাসমান অবস্থায় পান। পরে লোকজন সেখান থেকে সালমাকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, সালমা আক্তার মৃগী রোগী ছিলেন। তিনি সাঁতার জানতেন না। তিনটি মৃত্যু নিয় অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।