সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজের ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিমানবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
ব্যয় বাড়ানোর জন্য প্রকল্পের কাজ দীর্ঘায়িত হয় কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টাকা বেশি পাওয়ার আশায় বাংলাদেশিরা প্রকল্প দীর্ঘায়িত করে, কিন্তু বিদেশিরা প্রকল্পে দেরি করে, সেটি তাঁর জানা ছিল না। প্রকল্পটি ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সাবেক অর্থমন্ত্রী এ প্রকল্পের টাকা দিয়ে গেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এর মধ্যে অনেক ভবন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, বিমানবন্দরের কিছু জমি দখল হয়েছিল। পরে সেটি উদ্ধার হয়। কিছু ডিজাইনের পরিবর্তন হয়েছে। ডিজাইন সব সময়ই কিছু হেরফের হয়। এ জন্য কিছু ডিলে (দেরি) হচ্ছে। আদার ওয়াইজ এটি ডিলে হওয়া উচিত না। চাইনিজ প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই স্মার্ট। সব কাজই তারা তাড়াতাড়ি করে। তবে এখানে কেন বিলম্ব করছে?’
নতুন টার্মিনালের উন্নয়নকাজ নির্দিষ্ট সময় ২০২৩ সালের মধ্যেই শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চাইনিজরা চাইলেই পারবে। তারা খুবই কর্মঠ। চীনে দেখা গেছে, আগের দিন যেখানে কিছুই ছিল না, পরদিন সেখানে শহর বানিয়ে ফেলেছে।’
২০২০ সালের অক্টোবরে কাজ শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২৬ মাসেও তেমন অগ্রগতি হয়নি। প্রকল্পটি ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
পরিদর্শনকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ, প্রকল্প পরিচালক শাহ জুলফিকার হায়দার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।