নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীরের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় অস্ত্রসহ মিছিল। গত ২৯ নভেম্বর
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীরের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় অস্ত্রসহ মিছিল। গত ২৯ নভেম্বর

পাটমন্ত্রীর মিছিলে প্রদর্শিত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীকের মিছিলে প্রদর্শিত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছেন নড়াইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। গোলাম দস্তগীর মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন মিছিল নিয়ে এসেছিলেন। সেই মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।

অস্ত্রটি ছিল পয়েন্ট ১২ বোর শটগান। এটি কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুলের দেহরক্ষী আশিকুজ্জামান নামের লাইসেন্স করা ছিল। আশিকুজ্জামান নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মির্জাপুর এলাকার হাসান সারোয়ারের ছেলে। গোলাম রসুল সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রদর্শন করা অস্ত্রটির লাইসেন্স বাতিলে ব্যবস্থা নিতে ১ ডিসেম্বর নড়াইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।

নড়াইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্রের লাইসেন্সটি গত সপ্তাহে বাতিল করা হয়েছে। গুলিসহ অস্ত্রটি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ২৯ নভেম্বর গোলাম দস্তগীর গাজী সশস্ত্র কর্মীসহ মিছিল করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলির দেহরক্ষীর সেই অস্ত্রটি জব্দ করে জেলা প্রশাসন। ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি সিনিয়র সহকারী জজ শেখ আনিসুজ্জামান আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গাজী গোলাম দস্তগীরকে সশরীর অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে গোলাম দস্তগীর লিখিত ব্যাখ্যা দেন।