শেরপুরের নকলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক গৃহবধূ ও তাঁর চাচাশ্বশুরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এক শিশু আহত হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিবিরচর মজিদবাড়ী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার টালকী ইউনিয়নের বিবিরচর মজিদবাড়ী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফিরোজ মিয়া (৪০) এবং ফিরোজ মিয়ার ভাতিজা মাসুদ মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩৫)। এ ঘটনায় ফিরোজ মিয়ার ছেলে রোকন (১৩) আহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নকলা উপজেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের বিবিরচর মজিদবাড়ী গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে। বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চালন লাইনের একটি তার গৃহবধূ পারভীন আক্তারের শরীরের ওপর ছিঁড়ে পড়ে। এ সময় পারভীনের ডাক-চিৎকার শুনে তাঁর চাচাশ্বশুর ফিরোজ মিয়া এগিয়ে এসে তাঁকে বাঁচাতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় ফিরোজ মিয়ার শিশুপুত্র রোকন এগিয়ে গেলে সে আহত হয়।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আজ বিকেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চালন লাইনের একটি তার পারভীন আক্তারের শরীরের ওপর ছিঁড়ে পড়ে।
পরে এলাকাবাসী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফিরোজ মিয়া ও পারভীনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মনিরা ইয়াসমিন তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। আহত শিশু রোকনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নকলা হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মনিরা ইয়াসমিন আজ রাত আটটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর ঘটনাস্থলেই ফিরোজ ও পারভীন মারা যান। হাসপাতালে আনার পর ইসিজি করে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের মিয়া রাতে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দুজনের লাশ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।