কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির–সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হয়ে আছেন সীমান্ত পেরিয়ে আসা মিয়ানমারের নাগরিকেরা
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে  রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির–সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হয়ে আছেন সীমান্ত পেরিয়ে আসা  মিয়ানমারের নাগরিকেরা

প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন ৫৬ মিয়ানমার নাগরিক

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন মিয়ানমারের ৫৬ নাগরিক। তাঁরা দেশটির চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মানুষ।

আজ সোমবার সকালে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা ৫৬ জন কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে হিন্দু রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির–সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২১ নারী ও শিশু রয়েছে।

অনুপ্রবেশকারীদের কয়েকজন জানান, ১০ মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাত-লড়াই চলছে। ইতিমধ্যে রাখাইন রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকা আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। দুই পক্ষের গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপ ও যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া মর্টার শেল ও গ্রেনেডে বেশ কিছু বসতি ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা স্থলপথে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রাখাইন রাজ্যের পাহাড়ে তাঁরা জুমচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

প্রথম আলোকে ৫৬ জন মিয়ানমারের নাগরিকের অনুপ্রবেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিন। তিনি বলেন, আজ সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ৫৬ নাগরিক বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেন। সবাই চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মানুষ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তাঁদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে কি না, সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে যারীন তাসনিম তাসিন বলেন, রাখাইন রাজ্যের সংঘাতে সেখানে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসেন বলেন, উখিয়ার হিন্দু রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের পাশে জড়ো হয়ে থাকা মিয়ানমারের ৫৬ নাগরিকদের বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও নিরাপত্তা দিচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি তাঁদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেছে।