দোকানে আড্ডা দেওয়ার সময় অতর্কিত গুলি, যুবকের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পাড়ার দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় হঠাৎ অতর্কিত তাঁদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গুলি। ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল এসে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন আরও পাঁচজন।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের এজাহার মিয়া ফকির বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার যুবকের মো. মোজাহেদ (২৮)। তিনি ওই এলাকার মোহাম্মদ হারুনের ছেলে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে রাত ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ব্যক্তিরা হলে আবু তাহের (৩৫), মো. ফয়জুল্লাহ (২৫), মো. ফরহাদ (১৯), মো. জামাল (২৫) ও জালাল উদ্দীন (৩০)। তাঁরা সবাই ওই এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা পেশায় দিনমজুর। তাঁদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদুল মান্নান বলেন, আহত ব্যক্তিদের কারও পায়ে, কারও মাথায় জখম করা হয়েছে।

কারা, কী কারণে হামলা চালিয়েছে, সে বিষয়ে গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তারা এ হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে। হামলাকারীর প্রথমে এলাকার বিদ্যুৎ–সংযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে প্রায় ১০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ার পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পরও এলাকায় সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। পুলিশকে আন্তরিকতার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের দমন করতে হবে।

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মরকর্তা মো. মাহবুব মিলকী বলেন, হামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কারা, কী জন্য এ হামলা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।