গাজীপুরে নতুন করে কোনো কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার বেশির ভাগ কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে আজ খুলে দেওয়া হয়েছে ৫টি। এসব কারখানায় কাজে ফিরেছেন শ্রমিকেরা। অন্যদিকে এখনো বন্ধ থাকা অন্য ৯টি কারখানা শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শিল্প পুলিশ।
শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরে মোট নিবন্ধিত কারখানা আছে ২ হাজার ৬৩৩টি। এর বাইরে অনিবন্ধিত কারখানা আছে ৪০০ থেকে ৫০০টি। এসব কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন প্রায় ২২ লাখ মানুষ। এসব শ্রমিকের ১৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে রাজি হয়েছে মালিকপক্ষ। ফলে বিক্ষোভ-প্রতিবাদসহ অন্য কর্মসূচি বন্ধ করে অধিকাংশ কারখানায় কাজে ফিরেছেন শ্রমিকেরা। তবে গতকাল বুধবার মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় ফুল এভার বিডি লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। দাবি পূরণের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। পরে আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জেলার কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি।
গাজীপুরের ইটাহাটা এলাকার ফারদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিকেরা কাজ করতে চান, তাঁরা কোনো ঝামেলায় জড়াতে চান না। বাইরের কিছু ইন্ধনের এসব হামলা-সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তাঁদের কারখানায় কোনো সমস্যা হয়নি। তারপরও দুই দিন বন্ধ রেখেছিলেন। এখন শ্রমিকেরা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কাজ করছেন। তাঁর মতে, দেশের এই অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২-এর টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জেলার কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। আজ ৯টি কারখানা বন্ধ আছে। সেগুলোও দু-এক দিনের মধ্যে খুলে দেওয়া হতে পারে। কারখানাগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় শিল্প পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছেন বিজিবি ও সেনা সদস্যরাও।