নোয়াখালীতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান। আজ দুপুরে নোয়াখালী জিলা স্কুল ময়দানে
নোয়াখালীতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান। আজ দুপুরে নোয়াখালী জিলা স্কুল ময়দানে

নোয়াখালীতে জামায়াত নেতা শাহজাহান

বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে আনা হবে

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি যত অপরাধ করেছেন, তার জন্য তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আবার ফ্যাসিবাদের রাজনীতি শুরু করার জন্য তাঁকে বাংলাদেশে আনা হবে না। শেখ হাসিনা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না।

আজ বুধবার দুপুরে নোয়াখালী জিলা স্কুল ময়দানে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় মুহাম্মদ শাহজাহান এসব কথা বলেন। মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, শেখ হাসিনা অনেকগুলো খুনের মাস্টারমাইন্ড। সুতরাং যদি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচার করা হয়, তবে তাঁর সাজা দেখবে বাংলাদেশের মানুষ।

জামায়াত নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, কোনো সংকট তৈরি হলে যাঁরা নিজের নেতা-কর্মীদের রেখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান, জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন না, তাঁরা কখনো দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক হতে পারেন না।

মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অভ্যুদয় থেকে শুরু করে স্বাধীনতা ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। আমরা বাংলাদেশকে গড়তে চাই। যেখানে গণতন্ত্র থাকবে, আইনের শাসন থাকবে। যেখানে শ্রমিক অধিকার থাকবে, মানবিকতা থাকবে। যেখানে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের নয়, মেধার প্রতিযোগিতা প্রতিযোগিতা হবে, সে ধরনের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’

মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমন করার জন্য গুলি করা হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকেও গুলি করা হয়েছে। আমরা আমাদের জীবদ্দশায় কখনো আকাশ থেকে ‍গুলি করতে দেখিনি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সেটিও দেখাল।’

শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক ব্যক্তি ছিলেন উল্লেখ করে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত পপুলার রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। কিন্তু তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করার চার বছরের মাথায় দেশকে দুর্ভিক্ষ উপহার দিলেন। গণতান্ত্রিক একটি দেশ এটিকে বাকশালের ধারায় পরিবর্তিত করলেন। সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিলেন। হাজার হাজার জাসদের নেতা-কর্মীকে হত্যা করলেন। মাত্র চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠল।

জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাওয়ানুল হকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা আমির ইসহাক খন্দকার, চট্টগ্রাম মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম লুৎফুর রহমান প্রমুখ।