কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানা ঘেরাও করেছে কোটা আন্দোলনকারীরা। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে একটার দিকে থানা ঘেরাও করলে থানার ভেতর থেকে পুলিশ সদস্যরা ছররা গুলি ছুড়তে থাকেন। এ সময় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে আজ বেলা একটার দিকে ভৈরব স্টেশনে থেমে থাকা সোনার বাংলা এক্সপ্রেস টেনে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সশস্ত্র প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে।
ভৈরব রেলস্টেশনের মাস্টার মো. ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলনকারীদের হামলায় ঢাকা–চট্টগ্রাম রেলপথে বিরতিহীন চলাচল করা সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের পেছনের দুটি বগি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ বক্সে আগুন দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা আজ বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় ভৈরব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুরের নেতৃত্বে দলটির একটি অংশ আন্দোলনকারীদের মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সেখানে থেকে সরেননি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ বক্সে আগুন দেন। পরে তাঁরা ভৈরব থানা ঘেরাও করেন। বেলা একটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানা ঘেরাও অবস্থায় ছিল। পুলিশ থানার ভেতর থেকে একের পর এক গুলি ছুড়ছিল।