চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে দুই দিনের ব্যবধানে কমেছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা কমে যাওয়ায় বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। এই তিন মসলা পণ্যের দাম কমলেও বাজারে এখনো বাড়তি সবজির দাম। তবে কমেছে আলুর দামও।
আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবারের তুলনায় আজ প্রতি কেজি পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম কমেছে অন্তত পাঁচ টাকা। প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০২ থেকে ১০৩ টাকা। বুধবার একই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১০৬ টাকায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯২ ও চীনা পেঁয়াজ ৫৪ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এসব পেঁয়াজের দাম কমেছে দুই থেকে চার টাকা। এ ছাড়া আমদানি করা রসুন ১৭৮ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে মানভেদে আদা বিক্রি হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৭০ টাকায়। আদা ও রসুনের দাম কমেছে ৭ থেকে ১৫ টাকা।
চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান খালেদ বলেন, বাজারে মসলাজাতীয় তিন পণ্যের দাম কমেছে। বাজারে সরবরাহ মোটামুটি ঠিক আছে, তবে চাহিদা কিছুটা কমেছে।
সবজির দাম বাড়তি
এদিকে সবজির পাইকারি আড়ত রেয়াজউদ্দিন বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। দুই দিনের ব্যবধানে সবজিভেদে দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা। এ ছাড়া মৌসুম অনুপাতে শিম, বরবটি ও লাউয়ের দাম বাড়তি বলে জানা গেছে, তবে বাজারে কমেছে আলুর দাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাজারে প্রতি কেজি শিম ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া লাউ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। বরবটি ও ঢ্যাঁড়স বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকার আশপাশে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়।
এদিকে আড়তে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে সবজির দামে। আজ সকালে নগরের নতুন ব্রিজ এলাকার আশপাশে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শিম ও ঢ্যাঁড়স ৬০ থেকে ৭০, টমেটো ৪৫ থেকে ৫৫, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩৫ থেকে ৪৫ ও মুলা ৩৫ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছে।
রেয়াজউদ্দিন বাজার আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলী বলেন, শিম, বরবটি ও লাউয়ের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া আলুর দাম কমেছে বাজারে।