চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে এক শিশু ও তাঁর দাদিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরেক কিশোরীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাসার গ্রামের বকাউল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন প্রবাসী ইউসুফ আলীর ছেলে আরাফাত হোসেন (১২) ও তার দাদি হামিদা বেগম (৭০)। আহত হালিমা খাতুন (১৪) ইউসুফ আলীর মেয়ে। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম রাধাসার গ্রামের বাবলু আক্তার জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিহত আরাফাতের মা তাঁকে ফোন করে জানান, তাঁদের বাড়িতে ডাকাত ঢুকেছে। পরে স্থানীয় মসজিদ থেকে ডাকাত ঢুকেছে বলে মাইকিং করা হয়। পরে তিনিসহ (বাবলু) কয়েকজন ওই বাড়িতে যান। তাঁরা দেখেন, হামিদা বেগমের মৃতদেহ খাটের ওপর পড়ে আছে। আরাফাত ও হালিমা আহত অবস্থায় নিচে পড়ে আছে। তাদের শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল।
বাবলু আক্তার আরও জানান, স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও অন্যদের সহযোগিতায় আহত ব্যক্তিদের কাঁধে করে রাস্তায় আনা হয়। এরপর একটি অটোরিকশায় করে তাদের হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। পথে আরাফাত মারা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে হালিমাকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি জানতে তদন্ত চলছে। ওই বাড়ি থেকে কোনো মালপত্র খোয়া যায়নি। এমনকি নিহত বৃদ্ধার গলায় সোনার চেইন ও দুল আছে। ডাকাতি নাকি কোনো শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের জন্য বাড়ির অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’