গ্রেপ্তার হওয়া মাহামুদুল হাসান ও মো. আলী আজিম ( মাঁঝের দুজন)। আজ সোমবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে
গ্রেপ্তার হওয়া মাহামুদুল হাসান ও মো. আলী আজিম ( মাঁঝের দুজন)। আজ সোমবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে

পটুয়াখালীতে ব্যবসায়ীসহ দুজনকে অপহরণের পর ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ২

পটুয়াখালীতে এক ব্যবসায়ীসহ দুজনকে অপহরণের পর ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকা থেকে অপহরণের শিকার দুজনকেও উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা তিনটায় পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পটুয়াখালী পৌর শহরের বড় চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা মাহামুদুল হাসান (২৭) এবং টাউন জৈনকাঠি এলাকার মো. আলী আজিম (৩০)।

পুলিশ সুপার বলেন, গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে পটুয়াখালী জজ কোর্ট এলাকার একটি হোটেলের সামনে থেকে মাছ ব্যবসায়ী মো. আমিরুল ইসলাম (৪৩) ও তাঁর মামাতো ভাই স্থানীয় সার্ভেয়ার মো. কুদ্দুস ঢালীকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁদের স্বজনের কাছে মুঠোফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকা থেকে অপহৃত দুই ব্যক্তি ও অপহরণে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি এবং মুক্তিপণ না পেলে খুন করার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলামের মামা কাজী মো. সুমন বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও যাঁরা জড়িত রয়েছেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

মাছ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলামের বাড়ি জেলার কলাপড়া উপজেলায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পায়রা বন্দরে আমার কিছু জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। এতে ডিসি অফিসের এলএ শাখা থেকে জমির ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১২ লাখ টাকা গ্রহণ করার জন্য আমার মামাতো ভাইকে নিয়ে ওই টাকা উত্তোলন করতে এসেছিলাম। শুনানি জটিলতার কারণ ওই টাকা উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। পরে বেলা আড়াইটার দিকে খাবার খাওয়ার জন্য হোটেলের সামনে গেলে তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশা আমাদের ঘিরে ফেলে। পরে সাত-আটজন লোক আমাদের দুজনকে অটোরিকশায় উঠিয়ে মুখ বেঁধে একটা পরিত্যক্ত ইটভাটার মধ্যে নিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে মেরে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে মুঠোফোনে আমার মামার কাছে টাকা দাবি করে তারা। বিষয়টি পুলিশের কাছে জানালে ডিবি পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে।’