কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে (৩৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছয়জনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর ভাবি বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে ওই ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিতাস থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ আটক ছয়জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কুমিল্লা জেলা কারাগার পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের আলী নুর প্রকাশ আলী (৪৫), মো. বাবু (৪০), সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ইদন মিয়া (২৫), আরিফ হোসেন (৩০), নুর মোহাম্মদ প্রকাশ চোক্কা (২৫) ও মো. বিদ্যুৎ মজুমদার (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের একটি বাজারে ত্রাণ সংগ্রহের কাজে যান। এ সময় অভিযুক্ত বাবু তাঁকে ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে দাসকান্দি বাজারের আলী নুরের দোকানে বসিয়ে রাখেন। সন্ধ্যার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একত্র হয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অভিযুক্ত ছয়জনকে ওই বাজারে আসতে বলেন। তাঁরা বাজারে এলে লোকজন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাঁরা ওই নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁদের গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটুনি দেওয়ার পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
তিতাস থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।