বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তাঁর ছেলে অয়ন ওসমান, তাঁর ভাতিজা আজমেরী ওসমানসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গুলিতে আহত মো. ফজলে রাব্বি বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওই মামলা করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন।
এ নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় ২২টি হত্যাসহ মোট ২৮টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি হত্যাসহ ১৮ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন শামীম ওসমানের চাচাতো শ্যালক এহসানুল হক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি খালেদ হায়দার খান প্রমুখ।
মামলার এজাহারে ফজলে রাব্বি বলেন, গত ৪ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি ফজর আলী মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে তিনিও আন্দোলনে অংশ নেন। ছাত্র-জনতার সুষ্ঠু ও ন্যায়সংগত দাবি থেকে বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে আসামিরা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, রিভলবার, সেমি অটোমেটিক মেশিনগান, শটগান, রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, চায়নিজ কুড়াল, তলোয়ার, ককটেল বোমাসহ সজ্জিত হয়ে তাঁদের হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অনবরত গুলি বর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় মামলার ২ নম্বর আসামি অয়ন ওসমানের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোড়া গুলিতে বাদী তাঁর বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।