উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার দাবিতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ চলছে। আজ শনিবার সকাল ছয়টা থেকে উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট-সাজেক সড়ক অবরোধ করে সেখানে অবস্থান করছেন ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ অবরোধ ঘোষণা দেয় ইউপিডিএফ।
আজ সকাল থেকে বাঘাইহাট-সাজেক সড়ক ও উজো বাজার-বঙ্গলতলী সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করছেন তরুণ-তরুণী ও স্থানীয় লোকজন। এদিকে অবরোধের কারণে সাজেক ইউনিয়নে পর্যটকেরা আটকা পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সভাপতি সুপর্ণ দেববর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধের কারণে ২৫০ থেকে ৩০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
ইউপিডিএফের রাঙামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট এলাকায় ৩০ থেকে ৪০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীর একটি দলকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি ও প্রভাব বিস্তার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউপিডিএফ ও জনসংহতি সমিতির সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অলিভ চাকমা ও ভাইস চেয়ারম্যান সুমিতা চাকমার এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার দাবিতে অবরোধ ডাকা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। কাল রোববার নির্বাচনের জন্য প্রশাসন সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইতিমধ্যে দুর্গম এলাকার ছয়টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা ও সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন, ভাইস চেয়ারম্যান চারজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী হলেন জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) নেতা বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা ও ইউপিডিএফ-জেএসএস সমর্থিত প্রার্থী অলিভ চাকমা। অলিভ চাকমা আওয়ামী লীগের নেতা। এদিকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সুদর্শন চাকমার পক্ষে কাজ করছেন।
নির্বাচনের এক দিন আগে ইউপিডিএফের ডাকা অবরোধে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল আউয়াল বলেন, ইউপিডিএফের ডাকা অবরোধে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। আগামীকালের নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।