মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় লরির ধাক্কায় একটি প্রাইভেট কার খালে পড়ে বাবা-ছেলেসহ তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রাইভেট কারের চালকসহ দুজন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন মো. আলমগীর (৫৫), তাঁর ছেলে মো. জহির (৩০) ও তাঁদের স্বজন রাহেলা বেগম (৫০)। তাঁদের সবার বাড়ি চাঁদপুরে শাহরাস্তি থানার কাদরা এলাকায়। আহত দুজন হলেন রাহেলা বেগমের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৫) ও প্রাইভেট কারের চালক মো. সুজন (৩৩)। তাঁরা দুজন গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল একটি পারিবারিক কাজে মো. আলমগীর ও তাঁর ছেলে জহির, তাঁদের স্বজন রাহেলা বেগম ও রাহেলার ছেলে নজরুল ইসলাম প্রাইভেট কারে করে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। তাঁদের প্রাইভেট কারটি দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেট কারটি ছিটকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে খালে পড়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস, থানা-পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ এসে উদ্ধারকাজ চালায়। এ সময় প্রাইভেট কার থেকে চালকসহ পাঁচজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বাকি দুজন সেখানে চিকিৎসাধীন।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজীব খান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়। তিনজনের লাশ উদ্ধার করে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ তিনটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।