নোয়াখালী

প্রেমিকা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যা, দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র
নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় কামরুল ইসলাম ওরফে সাগর (২০) নামের এক যুবককে শ্বাস রোধ করে হত্যার দায়ে মিঠু চন্দ্র দাস ও জিতু চন্দ্র দাস নামের দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা এ রায় দেন।

রায়ে আদালত আসামিদের উভয়কে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় আসামিদের আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালতের স্টেনোগ্রাফার মাসুদ রানা রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ভাই মিঠু চন্দ্র দাস ও জিতু চন্দ্র দাস সুবর্ণচর উপজেলার মধ্য চরবাটা গ্রামের মনোরঞ্জন দাসের ছেলে। আদালতের রায় ঘোষণার সময় তাঁরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চরবাটা গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে কামরুল ইসলামের প্রেম ছিল। ওই তরুণীর বাবা বিষয়টি মানতে না পেরে কামরুলকে শায়েস্তা করতে প্রতিবেশী মিঠু চন্দ্র দাসকে নিয়োজিত করেন। তবে ঘটনাচক্রে মিঠুর সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেম হয়। ২০১৮ সালের ৮ জুন ওই প্রেমের ঘটনা নিয়ে মিঠু ও কামরুলের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সে রাতে কামরুলকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় মিঠু ও তাঁর ভাই জিতু। তাঁরা কামরুলকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে পাশের একটি বাগানে লুকিয়ে রাখেন। পরদিন চর জব্বর থানার পুলিশ ওই জঙ্গল থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে থানায় কামরুলের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে দুই ভাই মিঠু ও জিতুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়।