পটুয়াখালীর দুমকিতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া হালিমা আক্তারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে দুমকির সাতানি গ্রামে বাবার বাড়িতে তাঁর লাশ পৌঁছায়। রাতেই সেখানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
আগুনে দগ্ধ হয়ে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার বিকেলে হালিমা মারা যান। একই ঘটনায় দগ্ধ হালিমার ছয় মাসের ছেলে জিসান এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন।
৮ জুন বিকেলে দুমকি উপজেলার নতুন বাজারসংলগ্ন শাহজাহান মুন্সির ভাড়াবাড়ি থেকে হালিমা ও তাঁর ছয় মাসের ছেলে জিসানকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন এলাকাবাসী। এ সময় ওড়না দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিলেন হালিমা। ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগানো ছিল।
এ ঘটনায় হালিমা আক্তারের মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে দুমকি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি পিয়ারা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ শাশুড়ি পিয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, নিহত হালিমার শাশুড়ি পিয়ারা বেগম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পরিকল্পনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা হালিমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত, পা ও মুখ বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন।
হালিমার স্বামী জাফর হোসেন বলেন, আগুনে দগ্ধ তাঁর শিশুপুত্র জিসান ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানে হালিমার মা ফাতেমা বেগম রয়েছে। স্ত্রীর লাশ নিয়ে তিনি শনিবার রাতে এলাকায় আসেন।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার বলেন, তাঁদের পারিবারিক বিরোধ ছিল। নিহতের শাশুড়িতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকার লোকজনসহ নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।