বরগুনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই গ্রামের তিনজনের মৃত্যু

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট
 প্রতীকী ছবি

বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার রায়ভোগ কদমতলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত ব্যক্তিরা হলেন রায়ভোগ কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. হেলাল (৩৫), মো. বেলায়েত হোসেন (২৬) ও মো. রবিউল (১৬)। দুর্ঘটনায় আরিফ হোসেন (৩০) নামের আরও এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বেলায়েত ও হেলাল সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। আর রবিউল হেলালের প্রতিবেশী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃতের স্বজনেরা জানান, নতুন ঘর করার জন্য পুরোনো ঘর ভাঙার কাজ করছিলেন হেলাল। এ সময় ঘরের চালের একটি টিন গিয়ে বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে। এ সময় টিনটি ধরে থাকা রবিউল, হেলাল ও বেলায়েত বিদ্যুতায়িত হন। পরে তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে আরিফ আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা বিদ্যুতের খুঁটি থেকে সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁদের মধ্যে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্ট চার ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হই, তাঁদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিজুল হক বলেন, নতুন ঘর করার জন্য পুরোনো টিন নামাতে গিয়ে তিনজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিতে বলেছেন।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। পুলিশ জানতে পেরেছে, নতুন ঘর বানানোর জন্য পুরোনো ঘর ভেঙে ফেলার কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।