রাঙামাটিতে ঢলের পানিতে ডুবে যাওয়া বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের পানি সরে যাওয়ায় সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ সময় সাজেকে আটকা পড়া দুই শতাধিক পর্যটক নিরাপদে ফিরে গেছেন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পর্যটকদের বহনকারী গাড়িগুলো সাজেক থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টি থেমে গেছে। এ সময় কাচালং নদীর পাহাড়ি ঢলও কমে যায়। ফলে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের তলিয়ে যাওয়া তিন স্থানের পানি কমে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। গত তিন দিনে আটকা পড়া ২৬০ জন পর্যটক খাগড়াছড়ি শহরে যাবেন সিদ্ধান্ত হয়। আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাঁদের বহনে জিপ, মাহিন্দ্র, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের প্রবেশমুখে লাইন ধরে দাঁড়ায়। পরে বেলা ১১টার দিকে ১৩টি জিপ ও ৬০টি অটোরিকশা-মোটরসাইকেলে ওই পর্যটকেরা খাগড়াছড়ি উদ্দেশে রওনা দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাঘাইহাট থেকে সাজেকে এসব পর্যটক বেড়াতে যান। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে ভারী বৃষ্টি হলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাচালং নদী উপচে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের বাঘাইহাট এলাকায় দুটি স্থান এবং মাচালং বাজার এলাকা ডুবে যায়। এতে এই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে পর্যটকেরা সাজেকে আটকা পড়েন।
সাজেক পর্যটনকেন্দ্রের গেটম্যান অলিন ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, আটকা পড়া পর্যটকেরা আজ বেলা ১১টার দিকে সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তাঁরা বেলা তিনটার মধ্যে খাগড়াছড়ি গিয়ে পৌঁছাবেন।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আটকা পড়া পর্যটকেরা আজ নিরাপদে ফিরে গেছেন। রিসোর্ট-কটেজে আটকা পড়া পর্যটকেরা যত দিন ছিলেন, কোনো কক্ষের ভাড়া নেওয়া হয়নি। শুধু পানির বিল নেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আটকা পড়লে পর্যটকদের এ সুযোগ দেওয়া হয়।’