টানা সপ্তমবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আব্দুস শহীদ। বিজয়ের পর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি
টানা সপ্তমবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আব্দুস শহীদ। বিজয়ের পর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি

টানা সপ্তমবার বিজয়ী হলেন নৌকার প্রার্থী আব্দুস শহীদ

মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুস শহীদ। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে টানা সপ্তমবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন তিনি।

আজ রোববার অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী আবদুল মুহিত হাসানী মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯০ ভোট। আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৮ ভোট।

চা-বাগান–অধ্যুষিত মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে আজ সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে চা–বাগান ব্যতীত ভোটকেন্দ্রগুলোয় ভোটারদের চিরচেনা দীর্ঘ লাইন ছিল না। বিচ্ছিন্নভাবে এক–দুজন করে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করেন। তবে এই চিত্র ভিন্নরূপ ছিল চা–বাগানগুলোয়। চা–বাগানে সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন ধরে ভোট প্রদান করেন চা–শ্রমিকেরা।

মৌলভীবাজার-৪ আসনের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ দুই উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোয় নৌকার প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রের সামনে ছিল না তাঁদের কোনো পোস্টার ও ব্যানার।

ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট না দেওয়ার কারণ চাইলে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার তেমন নেই। আমি কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিইনি। আমার এলাকায় কেন্দ্রগুলোতে বের হয়েছি। ভোটের তেমন কোনো আমেজ নেই।’

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী আবদুল মুহিত হাসানী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কিছু কিছু সেন্টারে এজেন্ট দিয়েছি। ভোটকেন্দ্রগুলোয় বের হয়েছি। কেন্দ্রগুলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছি।’

মৌলভীবাজার-৪ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৯ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৭২২ জন। এই আসনে দুটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন আছে।