শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় একজন নারী পোশাককর্মীকে (২৬) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচজনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় মামলাটি করেন ওই নারী।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী পোশাককর্মীর বাবার বাড়ি শেরপুর শহরে। ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকেন। গত বৃহস্পতিবার শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। রাতে মামাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে পাশের এক মাহফিলে ওয়াজ শুনতে যান তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে মিল্লাদ নামে এক যুবক বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে ভায়াডাঙ্গা এলাকার একটি মাছের খামারে নিয়ে যান।
সেখানে মিল্লাদ, ফারুক মিয়া, বাবু মিয়া, নজরুল ইসলাম ও শিপন মিয়া নামের পাঁচ ব্যক্তি ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারীর চিৎকারে স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। ঘটনার পরপরই ওই যুবকেরা পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ওই নারীকে পুলিশ শ্রীবরদী থানায় নিয়ে যায়। এরপর ওই পাঁচ ব্যক্তিকে আসামি করে রাতেই ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেন ওই নারী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ব্যক্তি পলাতক থাকায় ওই নারী পোশাককর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ভুক্তভোগী নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।