রংপুরের পীরগাছায় জোবায়দা বেগম নামে প্রবাসফেরত এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই নারীর স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঁচামাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে ২৫ বছর আগে বিয়ে হয় জোবায়দা বেগমের। তাঁদের সংসারে চার সন্তান রয়েছে। সংসারের অভাব দূর করতে চাকরি নিয়ে পাঁচ বছর আগে জর্ডানে পাড়ি জমান জোবায়দা বেগম। মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য তিন মাস আগে দেশে আসেন তিনি। মেয়ের বিয়ে পর্ব শেষে আবারও বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জোবায়দা। কিন্তু স্বামী জাহাঙ্গীর আলম নতুন করে আবারও বিদেশে যেতে বারণ করেন তাঁকে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল রাতে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলম জোবায়দা বেগমকে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত ১টার দিকে জোবায়দার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জোবায়দার স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত নারীর বড় মেয়ে নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে বাবা জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করে আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।