জয়পুরহাট সদর থানার লুট হওয়া পিস্তল ও ৩৭টি গুলি উদ্ধার

জয়পুরহাট সদর থানার অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া একটি পিস্তল ও ৩৭টি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়পুরহাট পৌর শহরের দেবীপুর রেলগেটের পাশে একটি ঝোপের ভেতর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব।

জেলা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ লোকজন জয়পুরহাট সদর থানায় হামলা চালান। এতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা থানায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাঁদের থানা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। এ সময় গুলিতে মেহেদি নামেরএক যুবক মারা যান। বিক্ষুব্ধ লোকজন থানার ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেন। ওই দিন থানার অস্ত্রাগার থেকে ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে গত এক মাসে ৩৭টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সম্প্রতি জেলা পুলিশের এসপি হিসেবে মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব যোগদানের পর লুট হওয়া অবশিষ্ট আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে জোর দেন। সম্প্রতি দুর্বৃত্তরা দেবীপুর রেলগেটের পাশে একটি ঝোপের ভেতর ১টি চায়না পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন ও ৩৭টি গুলি ফেলে রেখে চলে যায়। গতকাল রাতে খবর পেয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

এসপি মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব প্রথম আলোকে বলেন, সদর থানার লুট হওয়া একটি চায়না পিস্তল, ১টি  ম্যাগাজিন ও ৩৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো পাঁচটি পিস্তল ও একটি চায়না রাইফেল উদ্ধার করা যায়নি। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।।