কলাগাছের ভেলায় ভাসমান অবস্থায় ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মুহুরী নদী থেকে কাফনের কাপড় পরানো অজ্ঞাতপরিচয় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁদের ধারণা, মৃত্যুর পর বন্যার কারণে দাফনের জায়গা না পেয়ে স্বজনেরা হয়তো লাশ ভাসিয়ে দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের বাদামতলী এলাকায় মুহুরী নদীর পাশে ঝোপের মধ্যে আটকে থাকা কলাগাছের ভেলা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন লাশের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি। মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। মুখে সাদা দাড়ি ও কাফনের কাপড়ের ভেতরে একটি বাদামি রঙের চাদর ছিল। এ নিয়ে উপজেলায় বড় ফেনী ও মুহুরী নদী থেকে এক নারীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
বাদামতলী এলাকার রবিউল ইসলাম বলেন, গতকাল বিকেলে একটি মৃতদেহ বাদামতলী এলাকায় মুহুরী নদীর তীরে ঝোপের মধ্যে আটকে পড়ে। পরে কয়েকজন মৎস্যজীবী লাশটি ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাঁরা আট-দশজন গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেন। লাশ অর্ধগলিত হওয়ায় বেশিক্ষণ দেরি না করে স্থানীয়ভাবে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করেন তাঁরা।
রবিউল ইসলাম আরও বলেন, বন্যার কারণে ফেনীর প্রায় সব কটি উপজেলার বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট পানির নিচে ডুবে গেছে। এ জন্য মৃত্যুর পর স্বজনেরা দাফনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ছয়টি কলাগাছ দিয়ে একটি ভেলা বানিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে নদীর পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা মানবিক দিক বিবেচনা করে লাশটি উদ্ধারের পর দাফন করেছেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় বলেন, মুহুরী নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে দাফন করার কথা তিনি শুনেছেন। এ ছাড়া উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে, বন্যার কারণে বিদ্যুতায়িত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে পড়ে দুই শিশুসহ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।