চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় গরুর গলা থেকে রশি খুলে নেওয়া কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুই ভাই খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম খুরুশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন জালাল উদ্দিন (২৮) ও তাঁর ছোট ভাই কামাল হোসেন (২৫)। তাঁরা পশ্চিম খুরুশিয়া গ্রামের জহির আহমেদের ছেলে। এ ছাড়া প্রতিপক্ষের মারধরে আহত হয়েছেন আরও চারজন। তাঁরা হলেন নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী মো. ইদ্রিছ এবং তাঁর তিন ছেলে মো. বাদশা, সালাউদ্দিন ও মো. রানা। ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা হলেন শফিকুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে খোরশেদ আলম।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ দুপুরের দিকে বাড়ির কাছে খেতের পাশে জালাল উদ্দিন তাঁর গরু মাঠে ঘাস খেতে বেঁধে দিয়ে আসেন। বিকেল পাঁচটার দিকে গিয়ে দেখেন, তাঁর গরুর গলার রশি কারা খুলে নিয়ে গেছে। খুঁজতে গিয়ে দেখেন, রশিটি শফিকুল ইসলামের হাতে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হলে শফিকুলের মাথায় আঘাত লেগে ফেটে যায়। এর জেরে পরে শফিকুল ইসলামের তিন ছেলে খোরশেদ আলম, মোরশেদ আলম ও সাইফুল মিলে জালাল উদ্দিনের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁকে বাঁচাতে ভাই কামালসহ প্রতিবেশী ইদ্রিছ ও তাঁর সন্তানেরা এগিয়ে আসেন। এ সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জালাল ও কামাল আহত হন। এ ছাড়া মারধরে আহত হন ইদ্রিছ ও তাঁর তিন ছেলে। সবাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জালাল ও কামালকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাহেরাতুল আশরাফী বলেন, হাসপাতালে আনার আগে দুজন মারা গেছেন। বাকি ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল ইসলাম বলেন, জালাল ও কামালকে হত্যার অভিযোগে শফিকুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে খোরশেদ আলমকে আটক করা হয়েছে। অন্যরা পলাতক। নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।