মনজুরুল ইসলাম
মনজুরুল ইসলাম

আদমদীঘিতে সাংবাদিকের দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার

নওগাঁ-বগুড়া সড়কের বগুড়ার আদমদীঘির মুরইল বাজারের জয় ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে বুধবার রাত ১১টার দিকে সাংবাদিক মনজুরুল ইসলামের (৪৯) দ্বিখণ্ডিত লাশ পড়ে ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

মনজুরুল দৈনিক ভোরের কাগজ–এর উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি আদমদীঘি উপজেলার উজ্জলতা গ্রামের মরহুম মোহাম্মাদ আলী মাস্টারের ছেলে। পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

মনজুরুল সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন নাকি কেউ তাঁকে হত্যা করে সড়কে ফেলে গেছে, এ নিয়ে তাঁর পরিবার ও সহকর্মী সাংবাদিকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সাংবাদিক মনজুরুলের ভাই মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু রহস্যজনক, সে সড়ক দুর্ঘনায় নাকি ছিনতাইকারির কবলে পড়ে নিহত হয়েছেন, সে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি।’

আদমদীঘি প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কারও দেহ সচরাচর দ্বিখণ্ডিত হয় না। এ ছাড়া তাঁর শরীরের জামাকাপড় ও মাথার হেলমেট অক্ষত অবস্থায় ছিল। তাঁর এই মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছে, সেটি কেউ বিশ্বাস করছে না। তিনি পুলিশকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের দাবি জানান।

সাংবাদিক মনজুরুলের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আদমদীঘি উপজেলার সব সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক মনজুরুল গতকাল বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত গ্রামে একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে রাতের খাবার খেয়ে মোটরসাইকেলে করে তাঁর এক আত্মীয়কে দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে রেখে বাড়ি ফেরার পথে রাত ১১টার দিকে এই ঘটনার শিকার হন। স্থানীয় লোকজন সড়কের ওপর মনজুরুলের দ্বিখণ্ডিত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দল তাঁর দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে। তাঁর মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে পড়ে ছিল।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, মনজুরুলের মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।