কক্সবাজারের টেকনাফের জিরো পয়েন্ট থেকে সাইকেলে ৬৪ জেলা ভ্রমণ শুরু করেছেন চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায়
কক্সবাজারের টেকনাফের জিরো পয়েন্ট থেকে সাইকেলে ৬৪ জেলা ভ্রমণ শুরু করেছেন চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায়

যে বার্তা নিয়ে ৬৪ জেলায় সাইকেলভ্রমণ শুরু করলেন চট্টগ্রামের সাইদুর

‘জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ হোক, সুরক্ষিত থাকুক ধরণীর লোক’–এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো ৬৪ জেলায় সাইকেলভ্রমণ শুরু করেছেন চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান ওরফে শাকিব। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায় কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ জিরো পয়েন্ট শাপলা চত্বর থেকে এ যাত্রা শুরু করেন তিনি।

আজ প্রথম দিন টেকনাফ জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে উখিয়া হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ৮১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন সাইদুর। যাত্রা শুরুর পর দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় দিন কক্সবাজার, রামু, আলীকদম হয়ে ১১৬ কিলোমিটার পথপাড়ি দিয়ে বান্দরবান পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাঁর। তৃতীয় দিন বান্দরবান থেকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, পটিয়া হয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবেন। এখন থেকে দৈনিক ১২০-১৩০ কিলোমিটার পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে যাত্রা শুরুর পর সাইদুর রহমান দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন

সাইদুর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার কলাউজান এলাকার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রামের পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি গত বছর ১৬ জানুয়ারি টেকনাফ থেকে শুরু করে ৩৯ দিনে প্রথমবারের মতো সাইকেলে ৬৪ জেলা ভ্রমণ শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌঁছেছিলেন।

সাইদুর রহমান বলেন, এবারের যাত্রার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবসায় বিনিয়োগ না করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে এখনই উদ্যোগী হতে সবাইকে সচেতন করা। তিনি বলেন, এর আগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার, কাপ্তাই, রাঙামাটি একাধিকবার সাইকেলে যাত্রা করেছেন। এবারের সাইকেল যাত্রাটি ৬৪ জেলা ঘুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনে এসে ৪৫ দিনের দিন শেষ করার ইচ্ছা রয়েছে।

সাইদুর রহমান বলেন, এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকে সাইকেল চালানোর শখ জাগে। এর সঙ্গে যোগ হয় ভ্রমণের নেশাও। দ্বিতীয়বারের মতো এই সাইকেল দিয়ে যাত্রাপথে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় একটি করে গাছের চারা রোপণ করতে চান। মাঝেমধ্যে লোকারণ্য ও বাজার এলাকায় সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।