মাদকসহ দুজনকে আটকের পর অর্থের বিনিময়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবু সালেহকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করেছে জেলা পুলিশ। গতকাল সোমবার তাঁকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের রাহাত খান ও শিবু রায়ের বিরুদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বেচাকেনার অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ শিহিপাশা এলাকা থেকে ১০টি ইয়াবা বড়িসহ তাঁদের দুজনকে আটক করেন এএসআই আবু সালেহ। পরে অর্থের বিনিময়ে ঘটনাস্থল থেকে শিবু রায়কে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। রাহাত খানের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান তিনি। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে এএসআই আবু সালেহর মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ বলেন, অর্থের বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে এএসআই আবু সালেহকে ক্লোজড করে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।