ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা নৌ থানার ভেতরে এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে এবং পরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ইলিশা নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া সাংবাদিকদের কোনো তথ্য দেননি। তবে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন কুমার সরকার বলেন, মেঘনা নদীতে টহলে যাওয়ার আগে অস্ত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত এক পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ এএসআইয়ের নাম মোক্তার হোসেন।
ইলিশা নৌ থানার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, থানার এক কর্মকর্তার পিস্তল ঘটনার সময় টেবিলের ওপর রাখা ছিল, সেই পিস্তল থেকে অসাবধানতাবশত গুলি বের হয়ে মোক্তার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে এএসআইকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইলিশা নৌ থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ এএসআই মোক্তার হোসেন প্রায় দুই বছর ধরে ওই থানায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। নৌ থানায় মোট আটজন সদস্য আছেন। মোক্তার বিশেষ অভিযানে চট্টগ্রামের কাপ্তাই যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মোক্তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে নিয়ে থানার ওসি ও দুজন কনস্টেবল বরিশালে গেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রের দাবি, গতকাল বিকেলে থানার ভেতরে হইচই শোনা যাচ্ছিল। ধুপধাপ শব্দও শোনা যায়, যা অনেকটা কিল–ঘুষি–লাথির শব্দের মতো। একপর্যায়ে গুলির শব্দ শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, নদীতে অভিযান পরিচালনা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। নৌ থানার ওসির সঙ্গে এএসআই মোক্তার হোসেনের বিভিন্ন নৌঘাটের চাঁদাবাজি ও ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
ঘটনার পরে সন্ধ্যার দিকে ইলিশা সদর নৌ থানা পরিদর্শনে যান ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন কুমার সরকার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নৌ থানার এএসআই মোক্তার হোসেন ডিউটিতে যাওয়ার জন্য অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র বুঝে নেওয়ার সময় মিস ফায়ার হয়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ওই সময় প্রত্যক্ষদর্শী কেউ থানায় না থাকায় এর বেশি কিছু জানা যায়নি। বিষয়টি নৌ থানায়, তাই নৌ পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।