রংপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রকে (১০) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। আজ শনিবার দুপুরে নগরের প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে ওই ছাত্রের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, গত ২৮ নভেম্বর রংপুর নগরের একটি মাদ্রাসার নির্মাণাধীন ভবন থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাত-নির্যাতনের চিহ্ন দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকেরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করছেন।
শিশুটির বাবা আক্ষেপ নিয়ে বলেন, তাঁর ছেলেকে এক মাস আগে লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে (আবাসিক ভবনে) ভর্তি করানো হয়েছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাদ্রাসার এক শিক্ষক তাঁকে ফোন করে শিশুটির অসুস্থতার খবর জানান। সেই সঙ্গে শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। কিন্তু তিনিসহ তাঁর পরিবারের লোকজন মাদ্রাসায় গেলে বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করে কর্তৃপক্ষ। তিনি তাঁর ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে শিশুটিকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক মাদ্রাসাশিক্ষক ও দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরেকজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে জেলা প্রবেশন কর্মকর্তার মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে।