চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসে ধাক্কা দেওয়ার পর ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে পড়ে মাইক্রোবাসটি। এভাবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায় গাড়িটি। এ সময় পুরো রেললাইন এলাকায় চলে তাণ্ডবলীলা। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে আছে মাইক্রোবাসের যন্ত্রাংশ, যাত্রীদের জামা, জুতা, ব্যাগ। উপড়ে পড়েছে রেললাইনের পাশের খুঁটি। দুমড়ে–মুচড়ে গেছে মাইক্রোবাসটি।
স্থানীয় বাসিন্দা খান মোহাম্মদ মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, বিকট শব্দ শুনে তিনি দৌড়ে বাড়ির বাইরে বের হয়ে দেখেন, চট্টগ্রামমুখী রেললাইনে একটি ট্রেন একটি মাইক্রোবাস সামনের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে ট্রেনটি থামে, সেখান থেকে দুর্ঘটনাস্থল পর্যন্ত পুরো এলাকায় মাইক্রোবাসের খণ্ডাংশ, জামা, জুতা পড়ে আছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে মিরসরাই বড়তাকিয়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। হতাহত ব্যক্তিরা সবাই ‘আরএনজে কোচিং সেন্টার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ও শিক্ষক। এ ছাড়া মাইক্রোবাসের চালকও ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খৈয়াছড়া ঝরনা পর্যটনকেন্দ্র থেকে গোসল করে ফেরার পথে মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রেনটি ধাক্কা দেওয়ার পর মাইক্রোবাসটিকে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে মোট ১৫ জন আরোহী ছিলেন। স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হতাহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে বড়তাকিয়া রেলস্টেশনে রেখেছেন।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেন ওই মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা গেছেন।