মানিকগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালের লিফট ছিঁড়ে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে। বাকি চারজন হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌর সুপারমার্কেটে মানিকগঞ্জ সেন্ট্রাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকজন রোগী, তাঁদের স্বজনসহ আটজন লিফটে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় উঠছিলেন। তৃতীয় তলায় লিফটের দরজা খোলার পরপরই হঠাৎ তার ছিঁড়ে লিফটি নিচতলায় (গ্রাউন্ডে) পড়ে যায়। এতে সাতজন শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান। তাঁদের মধ্যে ওই তিনজন গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালের কর্মচারীরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যান।
গুরুতর আহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার পালরা গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৬৫), বেতিলা গ্রামের জহিরুল ইসলাম (২৫) ও সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের আয়েশা আক্তার (২১)। আহত জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ডাক্তার দেখানোর জন্য আমি একজন রোগী নিয়ে এই হাসপাতালে আসি। তৃতীয় তলায় যাওয়ার পরপরই লিফট ছিঁড়ে নিচে পড়ে যাই।’
আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার দেড় ঘণ্টা পরও হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক তাঁদের খোঁজ নেননি। ভাঙা পা নিয়ে ব্যথায় বসে থাকতে হয়েছে। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক বাবুল আক্তার খান বলেন, প্রায় এক মাস আগেও এমন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ত্রুটির কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার লিফটি মেরামত করা হয়েছে। মেরামতের পরদিনই লিফটের তার ছিঁড়ে এমন ঘটনা দুঃখজনক। লিফটের ধারণক্ষমতার চেয়ে লোকজনও কম ছিল।
আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের অংশীদার মালিক ও চিকিৎসক সৈয়দ জালাল উদ্দিন আহমেদ। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।