গল্পটা বেশ মজার। দুই বিজ্ঞানী শহরে ভূতের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন। গবেষণার একপর্যায়ে বিষয়টি আর তাঁদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ভূত নিয়ে গবেষণা বলে কথা। তাই ভূতের রাজ্যেই যেন ঢুকে পড়েন গবেষকেরা। যেখানে প্রকৃতি, মানুষে আর ভূত-প্রেত একসঙ্গে মিলেমিশে যায়।
বাংলাদেশের দুই শিল্পী—দিয়ানা মেরিলিন ও মো. ফারহাদ আহমেদের পরিবেশনায় ফরাসি পাপেটিয়ার লরি ক্যানাকের নির্দেশনায় ‘অদৃশ্য গল্প’ নামের এই বডি পাপেট শোর আয়োজন করেছিল আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রাম। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চকবাজারে অবস্থিত ফরাসি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটির মিলনায়তনে এই পাপেট শোর আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের লোকজ পুতুলনাচের ধারা থেকে লরি ক্যানাকের বডি পাপেট শো বেশ ভিন্ন। এখানে পুতুল, মুখোশ, মানুষ—সবাই মঞ্চে একসঙ্গে উপস্থিত; অর্থাৎ পুতুলনাচের এই ধারায় শারীরিক কসরতেরও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশকে মুখোশ, পুতুল ব্যবহার করে নানা অবয়ব তৈরি করেছেন শিল্পীরা। সেই সঙ্গে ছিল নানা তলে আলোর খেলা। অভিনব এই পরিবেশনা চট্টগ্রামের দর্শকদের নতুন অভিজ্ঞতা দিয়েছে। মুগ্ধ করেছে। পরিবেশনায় বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মৌখিক ঐতিহ্য, ভূতের গল্প এবং অতিপ্রাকৃত উপাদানগুলোও উঠে এসেছে।
পাপেটিয়ার লরি ক্যানাক ফ্রান্সের মূলধারার একজন পাপেটশিল্পী। মূলত বডি পাপেটকে কেন্দ্র করে তিনি ১৯৯৭ সালে গ্রেইন দ্য ভিল থিয়েটার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। বডি পাপেটে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি দিয়ানা মেরিলিন প্রাচ্যনাট থিয়েটারের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। অপর পাপেটিয়ার মো. ফারহাদ আহমেদ একই সঙ্গে একজন নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার ও মঞ্চের ব্যস্ত অভিনেতা। ফারহাদ প্রাচ্যনাট থিয়েটার ও জলপুতুল পাপেটসের সঙ্গে কাজ করছেন।
আয়োজনে বক্তব্য দেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের পরিচালক ব্রুনো লাক্রাম্প ও সহকারী পরিচালক গুরুপদ চক্রবর্তী।