চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কবির আহম্মদ (৭০) নামের এক বিএনপির নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় উপজেলার বারইয়ারহাট পৌর বাজারের উত্তর পাশে রূপনগর ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কবির আহম্মদের ছেলে দিদারুল আলম (৪২), জামশেদ আলম (৩৫), যুবদলের কর্মী বাহার ও শরীফ আহত হন।
মারা যাওয়া কবির আহম্মদ হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের দীল মোহাম্মদের ছেলে। এ ঘটনায় নাছির ও মোস্তাফিজুর রহমান নামের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. এরশাদ উল্ল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যায় কবির আহম্মদ, দিদারুল আলম ও জামশেদ আলম নামের তিন ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে কবির আহম্মদ মৃত ছিলেন। ওনার (কবির আহম্মদ) বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। বাকি দুজনের মাথায় ও হাতে জখম ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়। পূর্বশত্রুতার জেরে স্থানীয় জিয়া উদ্দিনের অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার ছোট ভাই ইকবাল হোসেনের ওপর যেভাবে হামলা করা হয়েছে, ঠিক একইভাবে বিএনপির নেতা কবির আহম্মদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আজ রাত সাড়ে আটটায় জিয়া উদ্দিন বাবলুর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হক সোহাগ বলেন, ‘হামলায় যুবদলের কর্মী বাহার ও শরীফ আহত হয়েছেন। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিফাতুল মাজদার প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।