রাজশাহীর বাগমারায় এক নারী এনজিওকর্মীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার যুবকেরা হলেন উপজেলার রামরামা গ্রামের সোহাগ হোসেন (২৩), নাঈমুর রহমান (২১) ও কামারখালী গ্রামের নাজমুল ইসলাম (৩১)।
পুলিশ, মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) তাহেরপুর শাখায় কর্মরত এক নারী কর্মী (২৫) স্বামীসহ বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি এলাকায় ভাড়া থাকেন। গত শনিবার রাতে ওই নারীর স্বামী না থাকার সুবাদে গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামিসহ ছয় যুবক তাঁর বাড়িতে ঢুকে কুপ্রস্তাব দেন। ওই নারী প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁরা ওই বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক যুবককে ধরে নারীর ঘরে নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁদের বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন ছয় যুবক। পরে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে উভয়ের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন যুবকেরা। বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপরও তাঁরা অবশিষ্ট টাকার জন্য অব্যাহত হুমকি দিতে থাকেন। পরে ওই নারী গতকাল রোববার ছয়জনকে আসামি করে থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, ওই নারী এনজিওকর্মীর সঙ্গে স্থানীয় ওই যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। তাঁদের আপত্তিকর মুহূর্তের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করা হয়েছে। তাঁরা কোনো হুমকি বা চাঁদা দাবি করেননি, এটা সাজানো ঘটনা।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে ভিডিও ধারণ করা মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।