নড়াইল সদর উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার গভীর রাতে নড়াইল পৌরসভার বিজয়পুর কাড়ার বিলের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজনের একজনের পকেটে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, তাঁর নাম মো. আসাদুল শেখ, বাবার নাম মো. গফুর শেখ, ঠিকানা দেওয়া আছে বাগেরহাটের ফকিরহাটের জাড়িয়া গ্রামের। অন্যজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সম্প্রতি নড়াইলের বিভিন্ন স্থানে গরু চুরি হচ্ছিল। সে জন্য বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা রাত জেগে পালা করে পাহারা দিয়ে আসছেন। গতকাল রাতে সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের বীড়গ্রামের রেবু বিশ্বাসের বাড়িতে পাঁচ-ছয়জনের একটি দল গরু চুরির উদ্দেশ্যে যায়। এ সময় বাছুরের ডাকে রেবু বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী টের পেয়ে চিৎকার দেন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে চোরের দলকে ধাওয়া করে। বিক্ষুদ্ধ জনতা নড়াইল-গোবরা-ফুলতলা সড়কের উজিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের পূর্ব পাশে একজনকে ধরে ফেলেন। অন্যজনকে বিজয়পুর কাড়ার বিলের মধ্যে ধরা হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
নড়াইল সদর থানার পুলিশ খবর পেয়ে আজ সোমবার সকালে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। চোরদের ধরার জন্য এলাকাবাসীকে সচেতন করাসহ এলাকায় পাহারা বসানো হয়। বীড়গ্রামে গরু চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী পিটুনি দিয়ে দুজনকে মেরে ফেলেছেন। নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।