সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো চার ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সোহেল, শেখ রুবেল, শেখ বাবুসহ আওয়ামী লীগের ২১৬ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে খুলনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় ১০৫ ও অন্য মামলায় ১১১ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৫ থেকে ৩০ জন করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বিএনপির দুটি কার্যালয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় এ মামলা করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের খালিশপুর থানায় ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের আহ্বায়ক শেখ দবির ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. ইকরাম মিন্টু বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
দুটি মামলার বেশির ভাগ আসামি একই ব্যক্তি। মামলাটি এজাহার হিসেবে নেওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন খালিশপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশীষ কুমার মৈত্র।
মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান, জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী রায়হান ফরিদ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাসসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
শেখ দবিরের মামলায় ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করা হয়েছে।
কাজী মো. ইকরাম মিন্টুর মামলায় ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করা হয়েছে। এর আগে খুলনায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে খালিশপুর ও দৌলতপুর থানায় একটি করে মোট দুটি মামলা হয়।