বগুড়ার ধুনটে যুবলীগের পদপ্রত্যাশী এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার সরকারপাড়া মোড় এলাকায় তাঁর ওপর হামলা করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে তাঁকে হত্যা হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার।
নিহত আল আমিন (৩৭) চর ধুনট গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদপ্রত্যাশী ছিলেন বলে জানান বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে এক বন্ধুর মোটরসাইকেলে করে আল আমিন উপজেলা সদর থেকে চর ধুনটে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ধনুট-গোসাইবাড়ি সড়কের সরকারপাড়া মোড়ে তাঁদের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আল আমিনের ওপর লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর চারটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
আল আমিনের চাচা আশরাফ আলী জানান, রাজনৈতিক বিরোধের জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ধুনট পৌর যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা আশিনুর রহমানের সঙ্গে আল আমিনের বিরোধ ছিল। তাঁরা উভয়েই পৌর যুবলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ছিলেন।
এর আগে বেশ কয়েকটি ঘটনায় আশিনুর ও আল আমিনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় বলে জানান স্বজনেরা। ২০১৭ আশিনুরকে ধুনট বাজার এলাকায় পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় করা মামলায় আল আমিনের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া প্রায় এক মাস আগে আশিনুরের চাচা জেল হককে কুপিয়ে আহত করা হয়। ওই ঘটনায় করা মামলায়ও আসামি ছিলেন আল আমিন। উভয় মামলাতে জামিনে ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে আল আমিন হত্যায় জড়িত সন্দেহে বিক্ষুব্ধ স্বজনেরা ধুনট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আশিনুরের বসতবাড়িতে আগুন দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই আশিনুর পলাতক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসান বলেন, ‘ঘটনাগুলো জেনেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’