সুরমা নদীর পানি বাড়ছে। বুধবার বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর এলাকায় তোলা
সুরমা নদীর পানি বাড়ছে। বুধবার বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর এলাকায় তোলা

সুনামগঞ্জে বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সুরমা নদীর পানি বাড়ছে

সুনামগঞ্জে বৃষ্টি, উজানের পাহাড়ি ঢল সুরমাসহ অন্যান্য নদীর পানি বাড়ছে। সুরমা নদীর পানি আজ বুধবার ১২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। নদী ও হাওর এমনিতেই ভরা বর্ষার পানিতে টইটম্বুর। তাই পানি বাড়লে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, উজানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি আরও বাড়বে। তবে জেলায় বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টি হলেই মূলত পাহাড়ি ঢল নামে সুনামগঞ্জে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে আজ বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত চেরাপুঞ্জি ও সুনামগঞ্জ দুই জায়গাতেই ভারী বৃষ্টি হয়েছে। চেরাপুঞ্জিতে এ সময় ৩০০ মিলিমিটার ও সুনামগঞ্জে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল নেমে সুনামগঞ্জের নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে। আজ সকাল নয়টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৯২ মিটার। সন্ধ্যা ছয়টায় পানি ছিল ৭ দশমিক ৪ মিটার। এ সময় পানি বেড়েছে ১২ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৭ দশমিক ৮০ মিটার।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের সুরমা নদীর তীরের বাসিন্দা মইনুল ইসলাম বলেন, দুই দিন ধরে নদীর পানি আবার বাড়ছে। গত মাসে দুই দফা বন্যা হয়েছে। মানুষ এমনিতেই নানাভাবে বিপদে আছে। এখন আবার বন্যা হলে মানুষের কষ্ট, ভোগান্তি বাড়বে। সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী ডলুরা গ্রামে বাসিন্দা সফিক আহমদ বলেন, গ্রামের পাশ দিয়ে চলা নদী দিয়ে ভারত থেকে ব্যাপক পরিমাণে পাহাড়ি ঢল নামছে।

সুনামগঞ্জে জুন মাসের মাঝামাঝি ও জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে দুই দফা বন্যা হয়েছে। এতে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসাবেই বন্যায় ৩০ হাজার ঘরবাড়ির বিধ্বস্ত হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেছেন, দুই দিন ধরে সুনামগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হওয়ার কারণেই মূলত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি আরও বাড়তে পারে। তবে সুনামগঞ্জে বড় বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।