নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাজারের শিলা মিষ্টিবাড়িতে প্রতি আড়াই কেজি ওজনের দই বিক্রিতে প্রায় এক কেজি ওজনের মাটির হাঁড়ি ব্যবহার করা হচ্ছিল। এ ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অধিদপ্তরের নাটোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর এ জরিমানা করেন
ভোক্তা অধিদপ্তরের নাটোর জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোক্তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর সরাসরি বনপাড়ার শিলা মিষ্টিবাড়িতে গিয়ে দইয়ের পাত্র ওজন করেন। এ সময় তিনি দেখতে পান, প্রতি আড়াই কেজি ওজনের দইয়ের পাত্র বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা তাঁর কাছে দাবি করেন, প্রতিটি পাত্রের জন্য ৬০০ গ্রাম ওজন বাদ দিয়ে তাঁরা দইয়ের ওজন নির্ধারণ করেন। কিন্তু তাৎক্ষণিক ওজন করে প্রতিটি পাত্রের (হাঁড়ি) ওজন দাঁড়ায় প্রায় এক কেজি (৯৫৬ গ্রাম)। অর্থাৎ প্রতিটি পাত্রে ৩৫৬ গ্রাম দই কম দেওয়া হচ্ছে। টাকার অঙ্কে সেটার পরিমাণ ১৪০। অথচ তাঁরা প্রতিটি দইয়ের হাঁড়ি কেনেন ১৮ টাকা করে। প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানটিকে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে ভোক্তাদের এভাবে যেন প্রতারিত করা না হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী মেহেদী হাসান তানভীর বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দইয়ের প্রতিটি বড় হাঁড়িতে ৩৫৬ গ্রাম করে দই কম দিচ্ছিল। এ প্রতারণার দায়ে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
তবে বনপাড়ার শিলা মিষ্টিবাড়ি দোকানের মালিক মখলেছুর রহমান প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ওজন করে দই বিক্রি করি না। পাত্র ধরে বিক্রি করি। ক্রেতা সবকিছু দেখে ইচ্ছা হলে নেন, না হলে নেন না। তাই এখানে প্রতারণার কিছু নাই।’
পরে একই বাজারের উত্তরা কসমেটিকসকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার দায়ে সাড়ে ৪ হাজার, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে মেসার্স এআর এন্টারপ্রাইজকে ৫ হাজার এবং একই অপরাধে মেসার্স মহিউদ্দিন ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফিড নামক প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে।