নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নবগঠিত কমিটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন পদবঞ্চিত নেতারা। তৃণমূলের কর্মীদের মতামত না নিয়ে অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠনের অভিযোগ তুলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁরা। সংবাদ সম্মেলন শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
গত শনিবার জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হারুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সবুর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ধামইরহাট উপজেলা শ্রমিক দল ও ধামইরহাট পৌর শ্রমিক দলের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটির সভাপতি করা হয়েছে আতিয়ার রহমানকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আবদুল মতিনকে। ৭১ সদস্যবিশিষ্ট ধামইরহাট পৌর শ্রমিক দলের কমিটির সভাপতি হয়েছেন রুহুল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রাজু হোসেন। এই দুটি কমিটি আগামী তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।
নতুন কমিটিতে ত্যাগী ও মামলা-হামলার শিকার নেতাদের পরিকল্পিতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
ওই দুটি কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ধামইরহাট উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বলেন, উপজেলা শ্রমিক দল ও পৌর শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা না করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে জেলা শ্রমিক দল। নতুন কমিটিতে ত্যাগী ও মামলা-হামলার শিকার নেতাদের পরিকল্পিতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এলাকায় না এসে একটি মহলের স্বার্থ হাসিলের জন্য জেলায় বসে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
ইব্রাহিম হোসেন আরও বলেন, যাঁদের কমিটিতে রাখা হয়েছে, তাঁদের অনেকেই শ্রমিক দলের সঙ্গে কোনো দিন সম্পৃক্ত ছিলেন না। আবার কেউ কেউ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই অবিলম্বে ঘোষিত কমিটি দুটি বাতিল করে আলোচনার মাধ্যমে ত্যাগী কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি গঠন করতে হবে।
এ সময় উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক কমিটির নেতা মেহেরুল হাসান, আবদুল লতিফ, রেজাউল হোসেন, সেকেন্দার আলী, পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে একই দাবিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ধামইরহাট-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মী ও তাঁদের অনুসারীরা।