সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে স্টেশনের বুকিং সহকারী ও এক যুবককে আটক করেছে র্যাব। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁদের আটক করা হয়। পরে বুকিং সহকারীর বিরুদ্ধে রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাব।
স্টেশনের ওই বুকিং সহকারীর নাম সুজন মিয়া। গতকাল রাতে তাঁকে স্টেশনের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. নুরুল ইসলাম। গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম রুমেল আহমদকে (৪০। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি সুনামপুর এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন খবরের ভিত্তিতে গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারিদের ধরতে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট পাওয়া না গেলে চড়া দামে বাইরে থেকে টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করে র্যাব। র্যাবের পাতা ফাঁদে পা দেন ওই দুজন। পরে তাঁদের আটক করা হয়। ঘটনাটি সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তারা সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এরপর তাঁকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় ব্যবস্থা হিসেবে সুজন মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে ২০ আগস্টের সিলেট থেকে ফেনীর দুটি টিকিট পাওয়া গেছে। র্যাবের অভিযোগ, কাউন্টারে টিকিট না থাকলেও তিনি নিজের কাছে টিকিটগুলো রেখে বেশি দামে বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন। এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আরও তদন্ত করা হবে।
র্যাব-৯–এর সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম প্রথম আলোকে বলেন, টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত রুমেল আহমদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থানায় মামলার পর হস্তান্তর করা হয়েছে।