ট্রেনে কাটা পড়ে রেলসেতু থেকে নিচে পড়ে যায় মনসুর মিয়ার শরীরের বিভিন্ন অংশ
ট্রেনে কাটা পড়ে রেলসেতু থেকে নিচে পড়ে যায় মনসুর মিয়ার শরীরের বিভিন্ন অংশ

নরসিংদীতে রেলসেতুতে কাজের সময় ছেলের সামনে ট্রেনে কাটা পড়েন বাবা

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ছেলের সামনে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন বাবা। এই দৃশ্য দেখে অচেতন হয়ে যান ছেলে। আজ রোববার সকালে ঘোড়াশাল রেলসেতুতে কাজ করার সময় ঢাকাগামী আন্তনগর এগারসিন্দুর প্রভাতী ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান ওই ব্যক্তি। দুপুরে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. মনসুর মিয়া (৬২)। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার মৃত মিয়া শাহের ছেলে। ছেলে আবদুল হাকিমকে (১৮) নিয়ে মো. মনসুর মিয়া ঘোড়াশাল এলাকায় রেললাইন মেরামত ও রঙের কাজ করছিলেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে বাবা-ছেলেসহ তিনজন শ্রমিক সকাল থেকে ঘোড়াশাল রেলসেতুর ওপর রেললাইন মেরামত ও রঙের কাজ করছিলেন। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা অভিমুখী এগারসিন্দুর প্রভাতী ট্রেনটি আসতে দেখেন তাঁরা। এ সময় ট্রেনটি রেলসেতুর কাছাকাছি চলে আসতে দেখে তিনজনই সেতু পার হতে দৌড়াতে শুরু করেন।

একপর্যায়ে তাঁরা রেলসেতুর ঘোড়াশাল প্রান্তের প্রায় কাছাকাছি চলেও আসেন। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনটি সেতুর ওপর চলে আসে। ছেলে হাকিম ও আরেকজন শ্রমিক রেলসেতুর এক পাশে থাকা নিরাপদচৌকিতে (দাঁড়ানোর জায়গা) অবস্থান নিতে পারলেও মনসুর পৌঁছাতে পারেনি। ছেলের সামনেই মনসুর ওই ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে সেতুর নিচে পড়ে যান। এতে তাঁর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। চোখের সামনে বাবার এমন মৃত্যু দেখে আবদুল হাকিম নিরাপদচৌকিতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে অন্য শ্রমিকের সহায়তায় হাকিমকে রেলস্টেশনে নেওয়া হয়।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত মনসুর মিয়ার দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।