স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমার প্রথম বার্তা হলো, তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা উন্নত করতে হবে। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি করতে পারি, তাহলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেঝেতে মানুষ শুয়ে থাকবে না।’
মন্ত্রী আজ শুক্রবার বিকেলে সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বৃহত্তর চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিচালক (প্রশাসন) শামিউল ইসলাম প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলার সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিভিল সার্জনরা নিজ নিজ জেলার স্বাস্থ্যসেবার চিত্র তুলে ধরেন মন্ত্রীর সামনে।
মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সামন্ত লাল সেন প্রথম কোনো জেলা পরিদর্শনে আসেন। দুই দিনের সফরের আজ প্রথম দিনে তিনি সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। বিকেলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কাল শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আজ সার্কিট হাউসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ আমাকে ডাক্তার বানিয়েছে। আজ যার জন্য আমি এই জায়গায় আসতে পেরেছি। সুতরাং আমি মনে করি, চট্টগ্রাম থেকেই আমার কাজটা শুরু করা দরকার। আজ জেলা ও থানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললাম। তাঁদের কথাগুলো শুনলাম। এটা প্রথম সভা। আমি আগে জিনিসটা বুঝে নিই। তবে আমার যেটা নির্দেশ এবং প্রথম বার্তা সেটি হলো, তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা উন্নত করতে হবে। এটা হলো আমার প্রথম দায়িত্ব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ গরিব মানুষ আজ রাঙামাটির কোনো উপজেলায় যদি সমস্যায় পড়েন, তাঁকে তো চট্টগ্রাম নিয়ে আসা কষ্টকর হবে। সুতরাং আমি তাঁদের সমস্যাটা শুনলাম। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয়ে সভা করে সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটা বার্তা আমি দিয়ে যাই, সেটা হলো চিকিৎসকদের সুরক্ষা। রোগী মারা গেলে হাসপাতাল ভাঙচুর চিকিৎসকের ওপর আক্রমণ সেটা যাতে না হয়। সেটা হলে আমি কিন্তু কঠোরভাবে দেখব। আবার চিকিৎসকেরও যদি কোনো অবহেলা হয়, সেটাও আমি দেখব।’
কর্মস্থলে উপস্থিতি-সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকেরা কেন থাকেন না, সেটাও একটা কারণ। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে চিকিৎসকেরা কর্মস্থলে থাকেন। তবে থাকতে হবে। ভালো ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরও যদি কর্মস্থলে না থাকেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু তাঁকে থাকার মতো পরিবেশ দিতে হবে আগে।’