নাটোরের গুরুদাসপুরে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে হারেজ আলী (৮০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-চাপিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সুমন আলী (৩০), মাসুদ রানা (৩২) ও মনিরুল ইসলাম (২০)। এ ঘটনায় স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী হোলেদা বেগম (৭০) ছুরিকাঘাতে মারাত্মক জখম হন। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে খাজা আলী বাদী হয়ে আটক তিনজনসহ আরও দুজনের নাম উল্লেখসহ অন্তত চার–পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে মই বেয়ে বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় নিহত ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ার জন্য অজু করছিলেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে এলোপাতাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করেন। তাঁর চিৎকারে স্ত্রী এগিয়ে এলে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করেন ডাকাত দলের সদস্যরা। তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ডাকাত দলের সদস্যরা দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় গ্রামের মানুষ ডাকাত দলের তিন সদস্যকে আটক করে থানা-পুলিশকে খবর দেন। সেনাসদস্যদের সহায়তায় ডাকাত দলের তিন সদস্যকে থানায় আনা হয়।
নিহত ব্যক্তির ছেলে ও মামলার বাদী খাজা আলী জানান, তাঁরা দুই ভাই। এক ভাই বিদেশে থাকেন, আর তিনি পৃথক বাড়িতে থাকেন। সুযোগ বুঝে ডাকাত দলের সদস্যরা তাঁর বাবার বাড়িতে ঢোকেন। তিনি হত্যার বিচার দাবি করেন। তাঁর মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, অভিযুক্তরা সবাই বৃ-চাপিলা আদর্শ (গুচ্ছগ্রাম) গ্রামের বাসিন্দা। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। লাশ নাটোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।