বরগুনার পাথরঘাটায় সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুভাষ চন্দ্র হাওলাদারের বাসভবন ভাঙচুর করা হয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ওই বাসভবন ভাঙচুর করা হয়।
গতকাল সোমবার বিকেল থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, শহরের শেখ রাসেল স্কয়ারে শেখ রাসেলের ছবি, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী জাবির হোসেনের চেম্বারের মামলার নথি লুটপাট ও আসবাব ভাঙচুর, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী আবদুর রহমানের চেম্বার ভাঙচুর ও মামলার নথি লুটপাট ও আগুন, পাথরঘাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী নাসির উদ্দিনের চেম্বার ভাঙচুর ও মামলার নথি লুটপাট।
এ ছাড়া আইনজীবী আওলাদ হোসেনের চেম্বার ভাঙচুর ও মামলার নথি লুটপাট, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হোসেনের ব্যক্তিগত চেম্বার ভাঙচুর, পাথরঘাটা কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নাইমুল রাব্বির ফলের দোকান ভাঙচুর ও লুট, পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকানের ডেন্টাল চেম্বার ভাঙচুর, পাথরঘাটা নতুন বাজারে বাচ্চুর ফার্মেসি, ইউনুসের মুদিদোকান, মাসুমের মুদিদোকান, মোসলেমের চা-দোকান, সিদ্দিকের পানের দোকান, রফিকের চায়ের দোকানসহ অন্তত আটটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। তা ছাড়া শহরের বাস টার্মিনালে আওয়ামী লীগ নেতাদের তিনটি বাসের কাউন্টার ভাঙচুর করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার শহর ঘুরে দেখা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি নেতা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য ছগির হোসেনের নেতৃত্বে পাথরঘাটা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করা হয়েছে। এতে পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা অংশ নেন।