কুড়িগ্রামের দুই উপজেলায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নুরুনবী মিয়া (১৭) নামের এক কিশোর মারা যায়। দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়।
নুরুনবী মিয়া (১৭) উলিপুর উপজেলার পৌরসভা এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নাওডাঙ্গা গ্রামের মফিজল হকের ছেলে। রফিকুল ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের তোবার উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে বাড়ির পাশে ধান রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করতে যায় নুরনবী। জমির সীমানায় পোঁতা বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে সংযুক্ত আর্থিং তারের গোড়ায় মাটি তুলে দেওয়ার সময় কোদালের আঘাতে নড়বড়ে হয়ে যায় তারটি। পরে বাড়ি গিয়ে ঘটনাটি জানায় নুরুনবী। সে আবার জমিতে ফিরে এসে বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগকে না জানিয়ে নিজে নিজে ঠিক করার চেষ্টা করে। এ সময় আর্থিং তারটি বিদ্যুতের মূল তারের সঙ্গে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে এলাকাবাসী এসে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে নিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।
পল্লী বিদ্যুতের উলিপুর উপজেলা জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রাকিবুল হাসান বলেন, বিদ্যুতের আর্থিং তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি আগে জানানো হলে তাঁরা ঠিক করে দিতেন। তাঁরা কাউকে নিজে নিজে এগুলো ঠিক করতে বলেন না। ঘটনার পরপরই বিদ্যুৎ বিভাগের লোক পাঠিয়ে মেরামত করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় রফিকুল ইসলাম (৪৫) বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র দিয়ে পুকুর থেকে পানি তুলতে যান। একপর্যায়ে সেখানে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির ও ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি) হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।