পুরান ঢাকার আদালত এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থায় আছেন পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। ওই দুই জঙ্গি যেন কোনোভাবেই সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে না যেতে পারেন, সে জন্য এই বাড়তি সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ ও বিজিবির একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের কর্মকর্তা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দেওয়ান মোর্শেদুল আলম বলেন, ওই দুই জঙ্গির ছবি ও ঠিকানা তাঁদের দেওয়া হয়েছে। দুই জঙ্গিকে কালো তালিকাভুক্ত (ব্ল্যাক লিস্টেড) করা হয়েছে। দুজনের ছবি ইমিগ্রেশন কক্ষে সাঁটানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুরে অবস্থিত বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ বলেন, ইতিমধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা এসেছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, বিজিবির প্রতিটি বিওপিকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ সদস্যদের চোখে স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মইনুল হোসেন শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল নামের দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মইনুল হোসেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আবু সিদ্দিক লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটোশ্বর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, পালিয়ে যাওয়া দুজন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (সাবেক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সদস্য। তাঁরা আলোচিত জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।